পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিয়মিত পড়াশোনা করেও পড়া মনে রাখতে পারছো না? জেনে নাও কিছু সুপার হ্যাক

ছবি
Image by - pixabay  পড়া বিষয় গুলিকে মনে রাখার প্রাথমিক শর্ত হলো   মনোযোগ ও রেগুলারিটি । এর কোনো বিকল্প নেই। তারপরেও দেখা গেছে, অনেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করেও পড়া বিষয় বস্তু ঠিক ঠাক মনে রাখতে পারে না। সবার মনে রাখার ক্ষমতা ( মেমরী ) সমান নয় , এটা ঘটনা। আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন ধারণা রয়েছে , যে , মনে রাখার ক্ষমতা নির্ভর করে brain বা মস্তিস্কের উপরে ।  আমরা মনে করি, প্রত্যেকের মস্তিস্কের ক্ষমতা ভিন্ন হওয়া য় স্মৃতি শক্তি বা মেমরী ক্যাপাসিটিও ব্যাক্তি বিশেষে আলাদা  হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো , জন্ম সূত্রে আমাদের প্রত্যেকের মস্তিস্ক ও তার কার্য ক্ষমতা একই রকমের, তাতে কোনো ভিন্নতা নেই। বায়োলজিক্যালি তোমার ব্রেইন আর ক্লাসের সব চেয়ে মেধাবী ছেলেটির ব্রেইন এক ই, তফাৎ টা শুধু ফাংশনালিটি বা কার্যপ্রণালী তে।  কোনো কিছু মনে রাখার যে প্রসেস ( record , retain and retrieve ) তাতে দুজনের ব্রেইন দুই রকম ভাবে রেসপন্স করে। এই ফারাক টা হয় মূলত "ব্রেন ট্রেনিং" এর বিভিন্নতা র কারণে। সঠিক এবং বিজ্ঞান সম্মত (ট্যাকনিকস)  উপায়ে  মস্তিস্কের এই কার্যপ্রনালীকে উন্নততর করা সম্ভব। আম...

পড়াশোনায় কিভাবে ফোকাসড থাকা যায়?

ছবি
পড়াশোনায় কিভাবে মনোযোগ বাড়ানো যায়? এই মোক্ষম প্রশ্ন টা অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মনেই থাকে। মনোযোগের  সমস্যা টা আগেও ছিলো, কিন্তু এখনকার সময়ে বোধোয় একটু বেশীই। বাচ্চাদের মধ্যে ইদানিং মনোযোগের অভাব এবং এটেনশন স্পেন কমে যাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা এখন প্রায় সবার সমস্যা। আমরা এখানে আলোচনা করবো কিভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো যায় ?  এবং   কোনো বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে কী করণীয়।  মনোযোগ বাড়াতে কিছু কার্যকরী টিপস : 1.  পড়াশোনা করতে হবে নিয়মিত। এর কোনো বিকল্প নেই। রুটিন এমন ভাবে তৈরী করবে যেন অপেক্ষকৃত কঠিন ও কম ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট গুলোর জন্য সময়ের বরাদ্দ কিছুটা বেশী থাকে।  2. সম্পূর্ণ সিলেবাস কে ভেঙ্গে পড়ার সুবিধার জন্য মাসিক বা সাপ্তাহিক ছোটো ছোটো টার্গেট বানাতে হবে। সাপ্তাহিক টার্গেট এচিভ করলে নিজেকে ট্রিট দিতে ভুলে যেও না। এক সাথে দুই এর বেশী সাবজেক্ট না পড়াই ভালো।  3. একসাথে টানা দীর্ঘক্ষণ না পড়ে, সুবিধা মতো দিনে 3 / 4 টা 'স্টাডি সেশন' বানাও। মাঝে ছোটো ছোটো ব্রেক থাকবে। সেসময়ে অন্য সব প্রয়োজনীয় কাজগুলি সেরে ফেলবে।   4. লিখতে হবে প্রচুর। নতুন কোনো  টপিক...

জীবনে লক্ষ্য নির্ধারণ করা কেন জরুরী

ছবি
জীবনকে অর্থবহ ও সফল করে তুলতে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই  সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা টা ভীষণ জরুরী। লক্ষ্যহীন জীবণ অনেকটা ঠিকানা বিহীন চিঠির মতো, কোথাও পৌছায় না। অথচ আশ্চর্যের বিষয় প্রায় পচানব্বই শতাংশ মানুষের জীবনে কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে না। এই ব্যপারে আমরা অনেকেই কিছুটা গা ছাড়া স্বভাবের। তার ফলে বেশিরভাগ মানুষ জীবনে সফল হতে পারে না , তার মধ্যে কেউ কেউ যদিও বা পেশাগত জীবনে  সাফল্য পেয়ে যায় , কিন্তু জীবনে সন্তুষ্টি থাকে না, সেই অর্থে অনেকেই  তেমন সুখী সন্তুষ্ট  নয় । একটা সময় পরে বাধ্য  হয়ে নিজের সাথে সমঝোতা করে নেয়। ঐ ' চলে যাচ্ছে ' টাইপের জীবন কাটাতে থাকে। অনেকে আবার 'ভালো আছি' র অভিনয় করে চলে , আর যারা তা পারে না, তারা ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে   তলিয়ে যায়, একসময় হারিয়েই  যায় চিরতরে। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে বস্তুগত প্রয়োজন টুকু হয়তো কোনো রকমে পুরণ হয়, কিন্তু সেই সঙ্গে থাকে চূড়ান্ত স্ট্রেস, অনিশ্চয়তা , মানসিক যন্ত্রণা , ভয় , ক্ষোভ আরও সব ' মন খারাপের আয়োজন '। এই ধরণের সফলতার মানে তবে কী ? কখনো কি ভেবে দেখেছো কেনো এমন হয়??  জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থা...

পজিটিভ থাকতে চাইলে...

ছবি
জীবনে যখন কোনো কিছুই ঠিক ঠাক চলছে না, হতাশার কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে চারিদিকে, তখন পজিটিভ থাকাটা ই হয়ে উঠে  একমাত্র সম্বল, লড়াই করে যাওয়ার। অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা থাকে, কঠিন সময়ে কী উপায়ে  পজিটিভ ও মোটিভেটেড থাকা যায়? নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা দূর করার উপায় ই বা কি? এখানে আমরা বোঝার চেষ্টা করবো, পজিটিভ থাকা মানে কি?  পজিটিভিটি কেনো এতো ইমপরট্যান্ট? পজিটিভ থাকার জন্য কী করা যেতে পারে?  পজিটিভিটি নিয়ে কথা বলতে গেলে, আগে মন নিয়ে দু- একটি কথা বলতে হয়। প্রকৃতি গত ভাবে আমাদের মনের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে  যথাক্রমে 1) স্মৃতি শক্তি( memory), এবং 2) কল্পনা শক্তি ( imagination )। এই দুটি ক্ষমতার সঠিক ব্যবহারেই মানুষ আজ শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করতে পেরেছে, যা অন্য প্রাণীকুল পারেনি। প্রকৃতি এই বিরল ক্ষমতা অন্য সকল  প্রাণীদের কে দেয় নি। স্বাভাবিক ভাবে আমাদের জন্য  আশীর্বাদ স্বরূপ  মনের এই দুটি বিশেষ  ক্ষমতা ই আবার ক্ষেত্র বিশেষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মনের উপর যাদের একেবারেই  নিয়ন্ত্রণ নেই , বা মনের অসীম শক্তিকে যারা সঠিক পথে পরিচালনা কর...

বাচ্চাদের হাতে মোবাইল! : গোটা প্রজন্ম ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন

ছবি
এখনকার দিনে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল একটা অতি সাধারণ ব্যাপার। অনেক মা বাবা কেই বেশ গর্ব করে বলতে শোনা যায়, তাদের বাবুসোনা কী ভীষণ স্মার্ট! এই ছোট্ট বয়সেই মোবাইলের সব ট্যাকনিকেল ব্যাপার-স্যাপার আয়ত্ত করে ফেলেছে। তিন বছরের বাচ্চা বাবার মোবাইলের প্যাটার্ন লক ওপেন করে ফেলছে ! বাবার তো আনন্দ হবেই 'ট্যাক উইজার্ড' সন্তান পেয়ে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি শিশুদের স্ক্রিন আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে!এদের শৈশব আদতে আমরাই নষ্ট করছি। নিজেদের স্বার্থে ওদের হাতে মোবাইলটা আমরাই তুলে দিয়েছি। সারাক্ষণ ওরা মোবাইল নিয়ে বুঁদ হয়ে বসে থাকছে। এখন আক্ষরিক অর্থেই  এদের মোবাইল সর্বস্ব জীবন! কোনো এক্টিভিটী নেই, সামাজিকতার শিক্ষা নেই, খেলাধুলা নেই। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে গাঁট হয়ে বসে থাকছে। বাবা-মাও নিশ্চিন্ত , বাচ্চা নানা প্রশ্ন করে আর মা কে জ্বালাতন করছে না, খেলার জন্য বায়না করছে না, যা দিচ্ছেন বিনা বাক্য ব্যয়ে গিলে ফেলছে, বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকছে , বাইরে যেতে বায়না করছে না। এখন তো আবার নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি , বাবা মা দুজনেই ব্যাস্ত, বাচ্চা সামলাবে কে? এতো সময় কৈ!! নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে আমরাই ওদের হাতে মোবাইল তুলে...

সোশ্যাল ফোবিয়া (Social anxiety disorder) কি? কী উপায়ে সোশিয়াল ফোবিয়া কাটিয়ে ওঠা যায়?

ছবি
  অনেকেই এমন আছেন যারা অচেনা পরিবেশে আর পাঁচজনের সাথে সহজে মিশতে পারেন না। নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রাখেন। আমরা চলতি ভাষায় এদেরকে ই 'লাজুক' বা 'মুখ চোরা' বলি। স্বভাবগত ভাবে অনেকের মধ্যেই এমনটা দেখা যায়, কিছুটা অন্তরমুখী চরিত্র , অন্যদের সামনে সহজে স্বচ্ছন্দ হতে পারেন না।আমি মনে করি এটা দোষের কিছু নয়। সবাইকেই যে খুব সামাজিকতায় পটু ( সোশ্যাল এনিম্যাল ) হতে হবে এমন নয় মোটেও। কিন্তু ব্যাপার হলো , যদি অপরিচিত বা পরিচিত মানুষদের কে ফেস করতে আমরা অকারণে ভয় পেতে শুরু করি  , দৈনন্দিন কাজে যে সব সোশিয়াল এক্সচেঞ্জ প্রয়োজণ, সেগুলিকেও যদি এড়িয়ে চলতে শুরু করি এবং "সবাই আমাকেই লক্ষ্য করছে" ( অর্থাৎ আমাকে জাজ করছে ) এমন ভাবনায় যদি সর্বক্ষণ ভীত সন্ত্রস্ত থাকি , তবে এটাকে সিরিয়াসলি নেয়া উচিৎ, হয়তো আমরা সোশ্যাল এঞ্জাইটি ডিসঅর্ডার এর শিকার হচ্ছি। সোশ্যাল ফোবিয়া বা সোশ্যাল এঞ্জাইটি ডিসঅর্ডার কি? এটা এক ধরণের ক্রনিক মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা, যেখানে ব্যাক্তি যে কোনো সামাজিক আদান প্রদান থেকে ইচ্ছে করে দূরে সরে থাকে। বাইরের কাউকে ফেস করতে ভয় পেতে শুরু করে। অতি সাধারণ সোশ্যাল ইন্ট...