পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Emotional Intelligence কী?

ছবি
আমরা অনেকেই মনে করি ' আবেগ ' ( Emotion ) আর ' বুদ্ধিমত্তা ' ( Intelligence ) অনেকটা পরস্পর বিরোধী , এরা পাশাপাশি চলতে পারে না। আবার আমাদের কারো কারো মনে এমন একটা প্রচ্ছন্ন ধারণাও  রয়েছে যে  , বুদ্ধিমান মানুষ সাধারণত আবেগ প্রবণ হন না , আবার উল্টো দিকে আবেগী মানুষ খুব কম ক্ষেত্রেই  বুদ্ধিমান হন। এই ধারণা টা কিন্তু একশ শতাংশ সঠিক নয়। মজার ব্যাপার হলো ' আবেগ ' ও ' বুদ্ধিমত্তা ' র সঠিক মিশ্রণে  যে কারোর ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় , অনন্য সাধারণ। এই বিশেষ গুণকে ই Emotional Intelligence বা " আবেগ জনিত বুদ্ধিমত্তা "  বলে। এই গুণটি থাকলে, আর পাঁচ জনের  থেকে সহজেই তোমাকে আলাদা করে চেনা যাবে। তোমার ব্যাক্তিগত ও সামাজিক জীবনে  সম্পর্ক গুলি আরও ভালো হবে , নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা ( leadership skill ) আসবে , সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পারবে সহজেই । ইন্টিয়ূশন বাড়বে। যে কোনো পেশায় সফল হবার সম্ভাবনা বাড়বে।  বিভিন্ন পেশায় সফল ব্যক্তিদের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, পেশাগত জীবনে সাফল্যের পেছনে প্রফেশনাল নলেজ ( I Q ) থেকেও ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স বা E Q এর ভুমিকা অ...

সহজে কনফিউশন দূর করার উপায়

ছবি
  Confusion এর বাংলা আবিধানিক  অর্থ হচ্ছে দ্বিধা , দ্বন্দ বা বিভ্রান্তি । সাধারণত জীবণে আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় confused হই ( চিকি ৎসা বিজ্ঞানের 'confusion' বা 'delirium' এর কথা বলছি না , এটা একটা সিরিয়াস মেডিক্যাল কন্ডিশন ) , এটা তখন ই ঘটে যখন দুই বা তার বেশী অপশন থেকে কোনো একটি কে বেছে নিতে হয়। আমার জন্য লাল ভালো নাকি নীল, এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকের গোটা রাত না ঘুমিয়েই কেটে যায়, তারপরেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কোনটা চুজ করবে। জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন confusion বা বিভ্রান্তি  বার বার আসে, বহুবার আসে। আসাটা ই স্বাভাবিক । এই confusion এর জন্যেই অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের দেরী হয়ে যায়, সুযোগ হাতছাড়া হয়। আজ আলোচনা করবো confusion কেনো হয় ? কাদের confusion বেশী হয় ? ঠিক কী করলে confusion এড়ানো যায়? গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় কিরকম মাইন্ডসেট থাকা জরুরী ? আগেই বলেছি , দুই বা তার বেশী অপশন থেকে কোনো একটি কে যখন বেছে নিতে হয় তখন ই আমরা confused হই । গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলি ঠিকঠাক নিতে না পারার পেছনে দায়ী এই confusion , অনেক সময় নিজের মন ও মস্তিস্কে...

কেন আমরা রেগে যাই? জেনে নাও রাগ এর আসল কারণ

ছবি
  ক্রোধ বা রাগ কে অনেকেই নেগেটিভ ইমোশন বলে মনে করেন। কেননা অনেক সময় অতিরিক্ত রাগ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। রাগের বশে কেউ কেউ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ ঘটিয়ে ফেলেন। তাই আমরা রাগ কেই ভিলেন ভাবি। ব্যক্তি বিশেষে রাগের ধরণ ও তা প্রকাশের মাত্রাও  ভিন্ন হয়। রাগ কে অনেকেই "নেগেটিভ ইমোশন"  মনে করেন। এখন তোমরা হয়তো  ভাবছো, ' রেগে যাওয়া ' টা  নিশ্চই তাহলে  কোনো মানসিক ব্যাধি বা  সমস্যা। না। একদম ই তা নয়। হাসি, কান্নার মতো ' রেগে যাওয়া ' টা ও একটা সহজ, স্বাভাবিক মানসিক প্রবৃত্তি। সবার ই রাগ হয়। রাগ ভীষণ শক্তিশালী একটা ইমোশন। এর শক্তি অসীম । এই শক্তিকে তুমি কী ভাবে  ব্যবহার করছো , তার উপরই নির্ভর করছে এর প্রভাব পজিটিভ হবে নাকি নেগেটিভ। চলো একটু ডিটেলে বোঝার চেষ্টা করি। রাগ  কি? কেন  আমরা রেগে যাই? আগেই বলেছিলাম রাগ একটা শক্তিশালী এনার্জি।  সাধারণত  কোনো আঘাত বা ক্ষতির সম্মুখীন হলে /আশঙ্কা থাকলে , নিজের অহং বোধে চোট লাগলে , প্রত্যাশার অপ্রাপ্তিতে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে মনের গভীরে জন্ম নেয় রাগ  , এর প্রকাশ সাধারণত ব...

সকালের কিছু সাধারণ অভ্যাস জীবন পালটে দিতে পারে

ছবি
 ইংরেজীতে একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে morning shows the day আর্থাৎ দিনের শুরুতেই বোঝা যায় দিন টা কেমন যাবে। কথা টা কিন্তু আমাদের ব্যক্তিজীবনে ও খাটে। দিনের শুরুতেই যদি কিছু টা সময় আমরা শরীর ও মনের যত্ন নেই , তাহলে শুধু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ে না, দিনভর মরা অনেক বেশী এফিসিয়েন্ট থাকি। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৈহিক স্ফূর্তি ও মানসিক স্থিরতা জরুরী। সকালে একঘন্টা সময় নিজের জন্য রাখো। দেখবে অনেক বেশী মোটিভেটেড ও পজিটিভ থাকতে পারবে। সকালে বেরুনোর আগে যেমন মোবাইল চার্জ করতে কখনো ভুল হয় না , ঠিক তেমনিভাবে নিয়মিত  নিজেকেও চার্জ করতে হবে, দেখবে যেকোন সিচুয়েশন অনেক ভালো ভাবে handle করতে পারছো। আসো জেনে নেই কিভাবে খুব সহজেই নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেয়া  যায়।  🔷️ ঘুম থেকে ওঠার একটা নির্দিষ্ট রুটিন বানাও। কোনোদিন  রাতে শুতে দেরী হলেও সকালে ওঠার রুটিন এক ই থাকবে। 4.30 থেকে 6.30 টার মধ্যে সুবিধা মতো সময় ফিক্স করো নিজের জন্য। 4.30 থেকে 6 টা  বাথরুমে যাবার আদর্শ সময় ,  পেট পরিষ্কার হয় ভালো ভাবে। 🔷️ উঠেই প্রথম কাজ বাসি মুখে জল খাওয়া। একে ' উষা পান ' বলে। আয়ু...

প্রিয়জনের মৃত্যুশোক কিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি?

ছবি
  প্রিয়জনের মৃত্যু আমাদেরকে নাড়িয়ে দিয়ে যায় ভীষণভাবে, আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। আর কোনো কারণে  সেই মৃত্যু যদি হয় আকস্মিক ও অপ্রত্যাশীত তাহলে সব কিছু যেন এক লহমায় এলোমেলো হয়ে যায়। চূড়ান্ত হতাশা ও মন খারাপের পালা চলতে থাকে। জীবনের ভীতটা ই যেন যায় নড়ে। স্বাভাবিকতায় ছন্দপতন ঘটে। জীবন থমকে যায় । একরাশ অভিমান গলার কাছ টায় দলা পাকিয়ে উঠতে থাকে, আর মাথায় গিজগিজ করে উত্তর না পাওয়া হাজারো প্রশ্ন। কখনো অনুতাপ ও অপরাধবোধ গ্রাস করে আমাদের। আমরা ভয় পেতে শুরু করি। মৃত্যু তখন আমাদের কাছে ভীষণ এক বিভীষিকা রূপে ধরা দেয়। আমরা ভুলেই যাই মৃত্যু হচ্ছে জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি যাকে কোনো অবস্থায়ই  এড়ানো যায় না।  জন্ম ও মৃত্যু নিয়েই জীবন। জন্ম ও মৃত্যু এই দুটি বিন্দু যে রেখায় যুক্ত রয়েছে সেটাই তো জীবণ ।। কেনো আমরা প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নিতে পারি না? প্রিয় মানুষের মৃত্যু যদি anticipatory হয়, অর্থাৎ আমরা আগে থেকেই জানতাম, উনি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছেন, তাহলে আমরা ভেতরে ভেতরে সেইভাবে প্রস্তুত হতে পারি। যেমন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত কোনো প্রিয় মানুষ  বা কোমাতে আচ্ছন্ন কেউ যিনি বেশ কিছু...

ভয় কে জয় করার উপায়

ছবি
জীবনে একবারের জন্যেও  কোনো কিছুতে ভয় পায় নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। হ্যা আমরা সবাই ভয় পাই, ভিন্ন ভিন্ন কারণে। ভয় পাওয়া বা ভীত হওয়া মোটেও দোষের নয়, এটা খুব স্বাভাবিক একটা মানসিক এবং শারীরবৃত্তিয়  প্রতিক্রিয়া যা আদতে আমাদেরকে রক্ষা করার জন্যেই প্রয়োজনে এক্টিভেট হয়। মস্তিস্কে ভয়ের অনুভূতি হয় মূলত অনাগত বিপদ সম্পর্কে শরীর ও মনকে সচেতন ও সজাগ  করার জন্য। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই বুঝবে, ভয় আমাদের জন্য দুর্বলতা নয়, বেঁচে থাকার হাতিয়ার যা জীবনে  বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধু প্রস্তুত ই করে না, সচেতন ও একাগ্র করে। সুতরাং ভয় পাওয়া দোষের নয়, কিন্তু বিনা কারণে ভয় পাওয়া, কাল্পনিক ভয়ে ভীত হওয়া, অল্পেতেই ঘাবড়ে যাওয়া, ইত্যাদি অবশ্যই জীবনে পরিপূর্ণতার পথে বাধা সৃস্টি করে। স্বাধীনতা হরণ করে। আমাদের পঙ্গু করে দেয়। আজ আমরা এখানে আলোচনা করবো ভয় আসলে কি? কেনই বা আমরা ভয় পাই? ভয় কে কিভাবে সহজেই জয় করা যায়? ভয়কে নিজের হাতিয়ার করে কিভাবে জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়  সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা করবো। ভয় আসলে কি? ভয় আমাদের মনো-স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া যা অনাগত বিপদ সম্পর্কে আমাদের কে সজাগ ও সচেত...