সহজে কনফিউশন দূর করার উপায়
Confusion এর বাংলা আবিধানিক অর্থ হচ্ছে দ্বিধা , দ্বন্দ বা বিভ্রান্তি । সাধারণত জীবণে আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় confused হই ( চিকিৎসা বিজ্ঞানের 'confusion' বা 'delirium' এর কথা বলছি না , এটা একটা সিরিয়াস মেডিক্যাল কন্ডিশন ) , এটা তখন ই ঘটে যখন দুই বা তার বেশী অপশন থেকে কোনো একটি কে বেছে নিতে হয়। আমার জন্য লাল ভালো নাকি নীল, এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকের গোটা রাত না ঘুমিয়েই কেটে যায়, তারপরেও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কোনটা চুজ করবে। জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন confusion বা বিভ্রান্তি বার বার আসে, বহুবার আসে। আসাটা ই স্বাভাবিক । এই confusion এর জন্যেই অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের দেরী হয়ে যায়, সুযোগ হাতছাড়া হয়। আজ আলোচনা করবো confusion কেনো হয় ? কাদের confusion বেশী হয় ? ঠিক কী করলে confusion এড়ানো যায়? গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় কিরকম মাইন্ডসেট থাকা জরুরী ?
আগেই বলেছি , দুই বা তার বেশী অপশন থেকে কোনো একটি কে যখন বেছে নিতে হয় তখন ই আমরা confused হই । গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলি ঠিকঠাক নিতে না পারার পেছনে দায়ী এই confusion , অনেক সময় নিজের মন ও মস্তিস্কের মধ্যেও চলতে থাকে দ্বন্দ। বুদ্ধিমত্তা ও আবেগের লড়াই। এর থেকেও জন্ম নিতে পারে confusion
কাদের confusion বেশী হয় ?
দেখা গেছে সাধারণত যাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে confusion বেশী হয়। এছাড়াও মনোযোগের অভাব ও অত্যধিক আবেগ confusion তৈরী করে। প্রকৃতিগত ভাবে মেয়েদের মধ্যে confused হওয়ার প্রবণতা বেশী।
কীভাবে ব্যবহারিক জীবনে confusion এড়ানো যায় ?
● সবচেয়ে প্রথমে যেটা প্রয়োজণ সেটা হলো মানসিক স্থিরতা। অস্থির মন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। মন কে স্থির ও কেন্দ্রীভূত করতে ধ্যান এর বিকল্প নেই। বিভিন্ন রকমের মেডিটেশন টেকনিক আছে , পছন্দ মতো বেছে নিয়ে নিয়মিত প্র্যাকটিস করো।
● জীবনের লক্ষ্য স্থির করো। লক্ষ্যহীন মানুষ বরাবর ই confused , নিজের সাথে সময় কাটাও , অন্যদের কপি করো না। জীবণ টা তোমার। জীবনের লক্ষ্য ও priority গুলি তোমাকেই ঠিক করতে হবে।
● গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সবার মতামত নিতে যেও না , confused হবে। অন্যের অভিজ্ঞতা তোমার ক্ষেত্রে কাজ না ও করতে পারে।
● সঠিক জ্ঞান confusion দূর করে। যে কোনো বিষয়ে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য কনফিডেন্স বাড়ায় ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
● সাধারণত দুটো বিষয়ের মধ্যে কোনো একটা কে বেছে নিতেই আমাদের confusion হয়। এক্ষেত্রে একটা কাজ করতে পারো, কাগজে দুটো অপশন পাশাপাশি লিখে ফেলো। তার নীচে দুটোরই প্লাস- মাইনাস লিখতে শুরু করো। বিশ্লেষণ করো , যেটা তোমার ক্ষেত্রে বেশী উপযোগী সেটা বেছে নাও।
● নিজেকে নিজে প্রশ্ন করো , কেনো (why) আমি এটা চাই / করতে চাই ?? উত্তরটা যদি স্পষ্ট এবং যথেষ্ট কনভিনসিং হয় , তাহলে confusion এর আর কোনো অবকাশ থাকে না।
● আমাদের বুদ্ধি ও আবেগের মধ্যে অনেক সময়েই দ্বন্দ থাকে , ফলত আমরা সহজেই confused হই। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আবেগের বশবর্তী না হয়ে, বুদ্ধি কে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। অত্যধিক রাগ, আনন্দ , বা ভয় এর মতো স্ট্রং ইমোশন গুলো সাধারণত সঠিক বিচার বিশ্লেষণে বাধা সৃস্টি করে , স্বভাবত ই confusion তৈরী হয় । একান্ত ব্যক্তিগত কোনো ফীলিঙ্স, বিশেষ কোনো হবি বা প্যাশন কে বেছে নিতে ইমোশনাল হতে বাধা নেই। এক্ষেত্রে তোমার মন যা চায় , তা ই করতে পারো।
Khub khub khub bhalo laglo. Such a positive quote! .... It really make my day.
উত্তরমুছুনThank you
উত্তরমুছুন