ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ( E Q ) বাড়ানোর উপায়
Emotional Intelligence কী? বা যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার পেছনে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ( E Q ) এর কতটুকু ভূমিকা রয়েছে তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো কিভাবে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (E Q) বাড়ানো যায়?
ছোটো বয়সে ঘটে যাওয়া কিছু অভিজ্ঞতা ও জেনেটিক ফ্যাক্টর ব্যক্তির E Q কে প্রভাবিত করে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো , চেষ্টা করলে যে কেউ , যে কোনো বয়সে নিজের E Q বাড়াতে পারে। এটা একটা স্কিল। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্র্যাকটিস করতে হয়। ধীরে ধীরে পারফেকশন আসে। আজ থেকেই প্র্যাকটিস শুরু করো , জীবন বদলে যাবে। তোমাদের জন্য রইলো
Emotional Intelligence ( EQ ) বাড়ানোর সেরা 10 টি টিপস :
1. Self awareness প্র্যাকটিস করো। নিজেকে জানো। নিজের সম্পর্কে সচেতন হও। কী পরিস্থিতিতে , কী ধরণের emotion ট্রিগার হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করো। কোনো একটি নির্দিষ্ট মুহুর্তে তুমি যা ফীল করছো , তা কেনো করছো জানার চেষ্টা কর। যেকোনো ধরণের emotions এর root cause পর্যন্ত পৌঁছাতে চেষ্টা করো।
2. Controlling own emotions. সঠিক পর্যবেক্ষণে যে কোনো ধরণের emotions এর প্রকৃত স্বরূপ বোঝা যায়। emotion তোমার শরীর এবং মনের উপর কী ধরণের প্রভাব ফেলছে সেটাও বুঝতে পারবে। শুধু একটু consciously চেষ্টা করলেই emotions এর এই ঝড় কে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
3. Don't be quick to react. পরিস্থিতি কী হতে চলেছে তার উপর হয়তো তোমার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না ও থাকতে পারে , কিন্তু তুমি সেই পরিস্থিতিতে কী ভাবে রিয়েক্ট করবে সেটা তোমার চয়েস। কিছু বলা / করার আগে ভাবো।
4. Don't be rigid. তোমার 'জানা' বা ' বোঝা ' টা ই কিন্তু সব নয়। ভুল তুমিও হতে পারো। অন্যের 'পয়েন্ট অব ভিউ' বোঝার চেষ্টা করো।
5 Pay attention to others অন্যদের অবজারভ করো , তাদের emotion বোঝার চেষ্টা করো। কথার চেয়েও বেশী মনোযোগ দাও body language ও other non-verbal কমিউনিকেশনস এর উপর।
6 Learning aptitude . অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নাও। যতো বেশী মানুষের সাথে মিশবে ততো কিছু নতুন শিখবে। '' আমি সব জানি '' এই ধরণের মনোভাব থেকে বেড়িয়ে এসো। শেখার / জানার কোনো শেষ নেই , শুধু মনের জানালা খোলা রাখতে হয়।
7. Expectation. প্রথমত এক্সপেক্টেশন যতো কম রাখবে ততোই ভালো। আর যদি রাখতেই হয় সেটা যেন realistic এক্সপেক্টেশন হয়। বিকল্প রাস্তা কী হতে পারে সেটাও ভেবে রাখো আগেই। প্রত্যাশিত রেজাল্ট না পেলে সেক্ষেত্রে তোমার যা কিছু করণীয় সেদিকে ফোকাস করো।
8. Social skill. সম্পর্কের প্রতি মনোযোগী হও। যতো বেশী মানুষের সাথে মিশবে, সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকবে , ততো তাড়াতাড়ি এই স্কিল ডেভেলপ করবে। হাসিখুশি ও পজিটিভ থাকার চেষ্টা কর। ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা কর। অন্যের ভালো দিক গুলি খুঁজে বার করো এবং সুযোগ পেলেই প্রশংসা করো। জেনুইন কমপ্লিমেন্ট। flattering নয় কিন্তু। ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত কর , প্রয়োজনে সাধ্যমতো সাহায্য কর।
9. Conflict management. পরিস্থিতি যতো উত্তপ্ত ই হোক না কেনো , on face ডিসিশন নিয়ো না। নিজের উপরে সম্পূর্ণ (words & action) নিয়ন্ত্রণ জরুরী। heat of the moment এ ব্যক্তি বা তার বলা কথার উপর মনোযোগ না দিয়ে , সমস্যার মূলে পৌঁছাতে চেষ্টা কর। ফোকাস করো problem solving এ।
10. De-stress yourself. নিয়মিত মেডিটেশন মন কে শান্ত ও একাগ্র করে। নিজের জন্য উপযোগী কোনো রিলাক্সেশন টেকনিক খুঁজে বার কর। শুতে যাওয়ার আগে অয়েল ম্যাসাজ (with essential oil), গরম জলে স্নান তাৎক্ষণিক ভাবে রিলাক্স হতে সাহায্য করে। এছাড়াও magnesium সমৃদ্ধ খাবার স্নায়ু কে শান্ত , সতেজ রাখে। একান্তই যদি কখনো emotion কে কন্ট্রোল করতে না পারো, মনে যা কিছু আসছে কাগজে লিখে ফেলো। ক্রিটিসিজম কে ভয় পেয়ো না। শেখার অনেক রসদ পাবে।
অনেকে সহজাত ভাবেই হাই E Q এর অধিকারী হয় , পরবর্তীতে এরা খুব সহজেই এই বিশেষ স্কিলটি রপ্ত করতে পারে। এদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যেহেতু জেনেটিক তাই এদেরকে আমরা born leader বলি। এতে অবশ্য আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই , যে কেউই সঠিক উপায়ে চেষ্টা করলে এই স্কিল অর্জন করতে পারে ও জীবনে সফল হয়। তোমরা যদি এই বিষয়ে আরও জানতে আগ্রহী হও, পড়ে দেখতে পারো নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার DANIEL GOLEMAN এর Emotional Intelligence বইটি ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন