পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মনোযোগ বাড়ানোর 5 টি অব্যর্থ উপায়

ছবি
  আমরা যে কাজ ই করি না কেনো , তাতে সফল হতে গেলে একশ শতাংশ মনোযোগ  প্রয়োজণ। কিন্তু মন যে বড়ো চঞ্চল! এক জায়গায় দাঁড়াতে ই চায় না। স্বামীজি বলেছিলেন , মন একটা "মাতাল এবং পাগল বানর" , বোঝো অবস্থা! সে তো কখনো স্থির থাকেই না। তাহলে? মনসংযোগের রাস্তা কি? কি করে ' কনসেনট্রশন পাওয়ার ' বাড়ানো যেতে পারে? বিশেষত যারা পড়াশোনা করছো , তোমাদের ভালো রেজাল্ট করতে গেলে মনোযোগ বাড়াতেই হবে। আজ আমরা জেনে নেবো কী করে সহজেই মনের অস্থিরতা দূর করা যায় ? লক্ষ্য করলে দেখবে দিনের বেশীরভাগ সময়ে আমাদের মন হয় ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন নইলে অতীতের কোনো দুঃখ/ কষ্টের স্মৃতি ধরে ঝুলে আছে। বর্তমানে স্থির থাকে না। আর মনোযোগের আসল ব্যাপারটা ই হচ্ছে মন কে বর্তমান সময়ে স্থির  রাখা, এক্দম 'প্রেজেন্ট মোমেন্ট' যা কে বলে। তখন ই সফলতা আসবে যে কোনো কাজে, সে পড়াশোনা ই হোক, খেলাধূলা বা অন্য কিছু । স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর ও প্রাথমিক শর্ত হলো মনোযোগ। 1. নিয়মিত শরীরচর্চা মনসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে : সুস্থ শরীরেই একটি সুস্থ মন থাকতে পারে । শরীরে কোনো বড়ো সমস্যা থাকলে মনসংযোগে অসুবিধা হয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচ...

অনিদ্রা দূর করার সাতটি কার্যকরী উপায়

ছবি
  অনিয়মিত বা অপরিমিত ঘুম কেই অনিদ্রা   বা Insomnia  বলা হয়। এমন কেউ নেই যে  জীবনে একবার ও এই সমস্যার সম্মুখীন হন নি। অনেকে এতে দীর্ঘদিন কষ্ট পান। এটা ক্রনিক আকার ধারণ করে। তখন এই  অপর্যাপ্ত বা অপরিমিত ঘুমের কারণে দেখা দেয় নানা শারীরিক ও মানসিক  সমস্যা। সঠিক স্বাস্থ্য রক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। আজ  আলোচনা করবো Insomnia বা অনিদ্রা কেন হয়? এবং অনিদ্রা দূর করার প্রাকৃতিক উপায় কি সেবিষয়ে । খুঁজে দেখবো এর স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে । রাতে ঘুম না আসার কারণ: ঘুম কমে যাওয়ার বা একেবারেই ঘুম না হওয়ার নানা কারন থাকতে পারে, ব্যক্তি বিশেষে কারন গুলিও ভিন্ন হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে -- মানসিক দুশ্চিন্তা , উৎকণ্ঠা বা অন্য কোনো ক্রণিক স্ট্রেস এগুলির জন্য ঘুম কমে যেতে পারে। ক্রনিক ডিপ্রেসন    এ আক্রান্ত ব্যক্তি অনিদ্রা বা Insomnia র শিকার হয় সহজেই। মেডিক্যাল ইস্যু : COPD , হার্টের অসুখ , আর্থ্রাইটিস বা অন্য কোনো  ক্রনিক পেইন, থাইরয়েড এর সমস্যা বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার জন্য। অলস জীবন যাপন :   ...

ডিপ্রেশন কে হালকা ভাবে নিয়ো না

ছবি
  আজকাল অনেক কেই বলতে শোনা যায়, " আমি ডিপ্রেসড " বা "ও ডিপ্রেশনে র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে " । আমরা অনেকেই সাধারণ 'মন খারাপ' বা 'মূড অফ' কে ই ডিপ্রেশন ভাবি। ব্যাপারটা কিন্তু এতো  সহজ নয়। এটা একটা জটিল  মানসিক ব্যাধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা যাতে করে এতে  যে কেউ , যে কোনো বয়সেই আক্রান্ত হতে পারে।  এটাকে একটা মানসিক  বিপর্যয়ও বলা যেতে পারে , একে  হালকা ভাবে নিলে ভবিষ্যতে আরও বড়ো বিপদ হতে পারে।  সাম্প্রতিক ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ । শুধু ভারতেই এই মুহুর্তে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশী ! শহুরে জীবনে অভ্যস্ত মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হোন বেশী।  এখানে আমরা জানার চেষ্টা করবো ডিপ্রেসন আসলে  কি? এর লক্ষণ গুলি কি কি? কেনই বা হয় এই রোগ ? এর প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিভিন্ন উপায় গুলি কি?  ডিপ্রেশন বা Major Depressive Disorder কি?  এটা এমন একটা মানসিক ব্যাধি যাতে আমরা নিজের অজান্তেই আক্রান্ত হই । বিনা কারণেই মন খারাপের পালা শুরু হয় এবং তা চলতেই থাকে। কোনো  কিছুই ভালো লাগে না। কোনো কিছু করার উৎসাহ / ...

জীবনে সফল হতে শুধু এই একটি জিনিস প্রয়োজন

ছবি
  একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখবে, জীবনে যে কোনো ক্ষেত্রে যারাই আজ সফল হয়েছেন আর যারা তা হতে পারেন নি, তাদের মধ্যে একটাই  মৌলিক পার্থক্য রয়েছে, সেটা আর কিছুই নয়, তা শুধু 'আত্মবিশ্বাস' এর ফারাক। বাস্তবে এই আত্মবিশ্বাস ই আমাদেরকে কোনো কাজ এ সফল হতে সাহায্য করে।  এখন প্রশ্ন হলো , আত্মবিশ্বাস আসলে কি? কেনোই বা এক ই পরিবারের দুজন মানুষের আত্মবিশ্বাস ভিন্ন হয়? আত্মবিশ্বাস কি 'অর্জিত' কোনো বৈশিষ্ট , না কি এর পেছনে কোনো জেনেটিক ফ্যাক্টর রয়েছে? ঠিক কি কি কারণে আত্মবিশ্বাস ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়? আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় ই বা কি?  এখানে আমরা আজ এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো । আত্মবিশ্বাস আসলে কী ? আত্মবিশ্বাস হলো নিজের উপরে বিশ্বাস। আরও সহজ করে বললে, নিজের দক্ষতা ও ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের  সচেতনতা ও বিশ্বাস ই হলো আত্মবিশ্বাস যা শত প্রতিকূলতার মধ্যেও লক্ষে স্থির থেকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় । অনেক সময় দেখা যায় একই পরিবারের বা একরকম পরিবেশ থেকে উঠে আসা দুজন মানুষের আত্মবিশ্বাস ভিন্ন হয়। কেউ কেউ আবার ছোটবেলা থেকেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, কেউ বা আবার একটু ভীতু প্রকৃতি...